Afia Khatun Khanjani laid to rest with due dignity of a Freedom Fighter
Comilla’s heroic freedom fighter Afia Khatun Khanjani died of old age on December 23, 2019 in Bagichagaon. The Ghashful family is deeply saddened by her demise. It is worth mentioning that with the dedicated efforts of the late Shamsunnahar Rahman Paran, the founder of Ghashful, it became possible to rescue this tortured woman from an abandoned barn and get recognition as a freedom fighter through a long struggle.
Khanjani had a very melancholic past. In 1971, during the liberation war, Afia Khatun Khanjani was brutally assaulted by the Pakistani army in the camp. At the end of the war when she returned home from the camp of the Pakistani army, she was expelled from the village, accused of being an ill-disciplined woman. But this Khanjani saved the lives of hundreds of people in the area during the liberation war risking her life. She was later evicted from her own village and rejected by her community.
For long, Paran Rahman was desperately trying to trace her. In 1999 Paran Rahman suspected that Khanjani might be in her own village hiding in the surrounding. Paran Rahman went Shonapur, Jagannath Dighi and desperately tried to locate her. Later in the early 2000, she rescued Khanjani in a very vulnerable condition from a barn (cow shed). Khanjani and her daughter Ruksana had to live in the cowshed as the society hadn’t accepted her. Their food was given inside the cowshed. When rescued they had only one single saree which both of them shared.
Ghashful is proud to have been by the side of the great freedom fighter during her lifetime. The heroic daughter was buried in the village of Sonarpur with due state status under the leadership of Chittagong Upazila Nirbahi Officer Masud Rana on December 24, 2019.
Shamsunnahar Rahman Paran had to struggle for a long time when she went door to door in various sectors and appealed for help in different places for the recognition of Khanjani’s heroism and honour. Finally, in 2013, in response to the request of Shamsunnahar Rahman Paran,“Naripakkho” signed an agreement for two years from 2014 to provide a monthly allowance at the rate of Tk 1,200 per month, which continued till 2017.
Birangana Afia Khatun Khanjani was given the recognition of a Freedom Fighter recognized on April 10, 2014 in the presence of 50 people, including the headmaster of a local school in Comilla, an assistant teacher and neighbors of the locality, under Paran Rahman’s initiative. She was later honored in various places at the public-private levels.
Paran Rahman had applied in writing at various levels of state and private, including the Ministry of Freedom Fighters, for recognition of Khanjani as a heroic freedom fighter. After Shamsun Nahar Rahman Paran’s death on November 27, 2015, the Bangladesh Federation of Business and Professional Women’s honored her on the occasion of their 35th birthday.
According to the decision of the 37th meeting of the National Freedom Fighters Council held on 10 October 2016, Afia Khatun was recognized as a Freedom Fighter to honour her contributions in our Liberation war. The nation will always remember her sacrifice.
মুুক্তিযুদ্ধে নির্যাতীত বীরাঙ্গনাদের সামাজিক মর্যাদা আর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পরাণ রহমান
ইউনিসেফ-এ নারী উন্নয়ন কর্মসূচি’র একসময়কার প্রধান, জওশন আরা রহমান তাঁর স্মৃতিচারণমূলক এক লেখায় মুুক্তিযুদ্ধে নির্যাতীত বীরাঙ্গনাদের সামাজিক মর্যাদা আর অধিকার প্রতিষ্ঠায় পরাণ রহমানের কীর্তি নিয়ে লিখতে গিয়ে তার স্বচক্ষে দেখা এক মর্মস্পর্শী ঘটনার বিবরণ দেন। তিনি একবার প্রাতিষ্ঠানিক কাজে চট্টগ্রাম সফরে যান। তাঁর ভাষায় সেই সফরে তিনি পরাণ রহমানের নিমন্ত্রণে ঘাসফুল পরিদর্শনে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়েন। জনহিতকর যুগোপযোগী অনেকগুলো কর্মকান্ডের মধ্যে তিনি দেখলেন মাটিতে একই পাটিতে বসে পরান রহমান এক নির্যাতীতা মহিলার সাথে আলাপ শুরু করেছেন। সাথে তিনিও বসলেন। তার লেখায় উল্লেখ করা ছদ্মনামের মামুনা খাতুন খুব বেদনাসিক্ত অতীতের এক কাহিনী শোনালেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে কিভাবে নির্যাতিত হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে। পরবর্তীতে তাঁর কোথাও ঠাঁয় ছিল না। সমাজ গ্রহণ করেনি নষ্ট নারী আখ্যা দিয়ে। সেই দূর্দিনে যার কোমল স্পর্শে নির্যাতীতা মামুনা আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন, যার দৃঢ় সাহসে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছিলেন তিনি হলো ঘাসফুল প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শামসুন্নাহার রহমান পরাণ। নির্যাতীতা বললো, অকুল সাগরে যেমন মানুষ একটি তৃণখন্ড ধরেও বাঁচতে চায়, আমিও তেমন করে পরাণ রহমানের বাড়িয়ে দেয়া হাত আঁকড়ে ধরলাম এবং জীবনে প্রথমবারের মতো উপলব্ধি করলাম – নারীরাও মানুষ। বুঝতে পারলাম আমিও মানুষ। নিজের মধ্যে যে কর্মশক্তি লুকিয়ে আছে তার অনুসন্ধান করার প্রেরণা পেলাম। তাঁর চর্চা করার সুযোগ পেলাম। দু’টো দূর্বল হাতকে শক্তিতে পরিণত করার দীক্ষা নিলাম পরাণ রহমানের কাছে। তারপর সম্মুখের পানে এগিয়ে গেলাম। জীবন কর্মচা ল্যে উজ্জীবিত হলো। এখনো চলেছি সেই জীবনস্রোতে । নিজের অর্জিত অর্থ দু’হাতে স্পর্শ করলাম। জীবন-এর অর্থ খুঁজে পেলাম। ভাবলাম সুকঠিন পথ-পরিক্রমা অতিক্রম করে অনেক দূর এগিয়েছি। মানুষের দৃষ্টি সম্মুখের পানে রাখতে হয় সর্বদা। এ শিক্ষা পেয়েছি পরাণ আপার কাছে। এটি ছিলো মামুনার নিজ মুখে বলে যাওয়া গল্প। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো গল্পটি শুনে গেলাম। বিষ্ময়কর অনুভুতি নিয়ে বারবার মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম কীর্তিমান পরাণ রহমানের বীরাঙ্গনা পুনর্বাসনের গল্পটি শুনে।